সোমবার

ঢাকা, ১৯ মে ২০২৫

সর্বশেষ


ই-কমার্স

ঝটিকা সফরে ঢাকা এসে চুপিসারে গেলেন জ্যাক মা

প্রকাশ: ৮ আগস্ট ২০২৩, রাত ১০:৫১

টেকওয়ার্ল্ড প্রতিবেদক

Card image

ছবি: সংগৃহীত

কেনো এই চুপিচুপি সফর, জানা নেই কারো। এতো বড়ো একজন উদ্যোক্তা বাংলাদেশ ও প্রতিবেশী দুই দেশে কেনো এলেন, তার কারণ নিয়ে নানা জল্পনাকল্পনা করছেন তিন দেশের বিনিয়োগ-বাণিজ্য সংশ্লিষ্টরা। তবে এটা যে নিছক ব্যক্তিগত সফর নয়, এই ধারণাটাই জোরালো হয়ে উঠছে।

কাউকে না জানিয়ে হঠাৎ করে ঝটিকা সফরে ঢাকায় এসেছিলেন চীনের বিজনেস জায়ান্ট, বিশ্ববিখ্যাত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান আলিবাবার সহ-প্রতিষ্ঠাতা জ্যাক মা। তার সফরসঙ্গী ছিলেন পাঁচজন চীনা, একজন ড্যানিশ এবং একজন মার্কিন নাগরিক। 

সংক্ষিপ্ত সফরে কোনো মিডিয়ার মুখোমুখি হননি তিনি। অনেকটা চুপিসারেই চলে গেলেন বিশ্ববিখ্যাত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানটির এই প্রতিষ্ঠাতা।

ঢাকায় সংক্ষিপ্ত সফর শেষে বিশেষ ফ্লাইটে নেপাল যান তিনি। পরে পাকিস্তান হয়ে উজবেকিস্তানেও যান তিনি। নেপালি ও পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

খবর হাব ডটকম সূত্রমতে, জ্যাক মা হংকং থেকে একটি চার্টার্ড বোয়িং ৭৩৭ ম্যাক্স বিমানে করে বাংলাদেশসহ কয়েকটি দেশ সফরে বের হন। 

জানা গেছে, গত ২৭ জুন একদম চুপচাপ ঢাকায় আসেন তিনি।  খুব বেশি সময় ঢাকায় অবস্থান করেননি। পুরো সময়টাই কাটিয়েছেন গুলশানের একটি পাঁচ তারকা হোটেলে।

নেপালি সংবাদমাধ্যম কাঠমান্ডু পোস্ট নেপালের ইমিগ্রেশন দপ্তরের সূত্রের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, ঢাকা হয়ে একটি বিশেষ ফ্লাইটে করে গত মঙ্গলবার (২৭ জুন) কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন জ্যাক মা।

ইমিগ্রেশন বিভাগের মহাপরিচালক ঝালাক্রাম অধিকারী নিশ্চিত করেছেন, বেলা আড়াইটার দিকে জ্যাক মাকে বহনকারী বিশেষ ফ্লাইটটি ত্রিভুবন বিমানবন্দরে অবতরণ করে।

নেপালের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (সিএএএন) তথ্য কর্মকর্তা জ্ঞানেন্দ্র ভূল জানান, জ্যাক মাকে নিয়ে বাংলাদেশ থেকে যাওয়া বিমানটিতে মোট ৬ জন ক্রু ছিল। 

বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার গুলশানে একটি বিলাসবহুল হোটেলের অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর (সেলস) মো. ওয়ালিদ শামীম রবিবার (২ জুলাই) জ্যাক মার সঙ্গে একটি গ্রুপ ছবি তার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে পোস্ট করেছেন। ক্যাপশনে তিনি লিখেছেন, ‘ঢাকা সফরে জ্যাক মাকে স্বাগত জানানো ছিল অত্যন্ত সম্মানের ব্যাপার।’

এদিকে একজন ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তার বরাত দিয়ে কাঠমান্ডু পোস্ট বলেছে, নেপালের অল্প কয়েকজন কর্মকর্তাই জ্যাক মার সফর সম্পর্কে জানতেন। তবে দেশটির প্রধানমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রীর ব্যক্তিগত সহকারীরা জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী পুষ্প কমল দাহাল এবং অর্থমন্ত্রী প্রকাশ শরণ মাহাতোর সঙ্গে দেখা করার জন্য আগেই অনুরোধ জানিয়েছিলেন জ্যাক মা।

পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম পাকিস্তান অবজার্ভারের প্রতিবেদনে বলা হয়, পরে জ্যাক মা ২৯ জুন পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদে পৌঁছান। সেদিনই তিনি লাহোর সফর করেন। পরের দিন (৩০ জুন) তিনি ব্যক্তিগত বিমানে করে উজবেকিস্তানের উদ্দেশে রওনা হন।

কেনো এই চুপিচুপি সফর, জানা নেই কারো। এতো বড়ো একজন উদ্যোক্তা বাংলাদেশ ও প্রতিবেশী দুই দেশে কেনো এলেন, তার কারণ নিয়ে নানা জল্পনাকল্পনা করছেন তিন দেশের বিনিয়োগ-বাণিজ্য সংশ্লিষ্টরা। তবে এটা যে নিছক ব্যক্তিগত সফর নয়, এই ধারণাটাই জোরালো হয়ে উঠছে।

সংবাদটি পঠিত হয়েছে: ৫৭৬ বার

এ সম্পর্কিত আরও খবর