১৫ ঘন্টা আগে
১৫ ঘন্টা আগে
১৫ ঘন্টা আগে
ছবি: সংগৃহীত
ডাটা সেন্টারের কার্বন ফুটপ্রিন্ট কমানোর জন্য এ প্রচেষ্টা তিনটি প্রধান ক্ষেত্রে মনোনিবেশ করবে-সোলার বা উইন্ড পাওয়ারের মতো পরিষ্কার শক্তির উৎস ব্যবহার, শক্তি ব্যবহারের দক্ষতা উন্নত ও নিঃসরণ কমানোর জন্য নতুন প্রযুক্তি তৈরি করা।
বিশ্বব্যাপী ডাটা সেন্টারের দ্রুত সম্প্রসারণের কারণে চলতি দশকের শেষ নাগাদ প্রায় ২৫০ কোটি টন কার্বন ডাই-অক্সাইড-সম নিঃসরণ ঘটবে। মরগান স্ট্যানলির গবেষণায় সম্প্রতি এ তথ্য উঠে এসেছে। গবেষণার ফল, কার্বন নিঃসরণ বৃদ্ধি ডাটা সংরক্ষণ ও প্রক্রিয়াকরণে সৃষ্ট বাড়তি চাহিদার পরিবেশগত প্রভাব তুলে ধরে।
ডাটা সংরক্ষণ ও প্রক্রিয়াকরণে যে বাড়তি শক্তি ও ইনফ্রাস্ট্রাকচার প্রয়োজন, তা পরিবেশে বেশি কার্বন নিঃসরণের কারণ হতে পারে। ফলে কার্বন নিঃসরণ কমানোর লক্ষ্যে ডাটা সেন্টার খাতে বিনিয়োগেও উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
মরগান স্ট্যানলির গবেষণা বলছে, কোম্পানি ও সংগঠনগুলো ডাটা সেন্টারকে পরিবেশবান্ধব করে তুলতে ও তাদের মোট কার্বন পদচিহ্ন বা ফুটপ্রিন্ট (কোনো একক ব্যক্তি বা সংস্থার সেবা, স্থান বা পণ্য উৎপাদনের কারণে সৃষ্ট মোট গ্রিনহাউজ গ্যাস নিঃসরণ) কমাতে প্রযুক্তি ও কৌশলে বেশি বিনিয়োগ করতে পারে।
ডাটা সেন্টারের কার্বন ফুটপ্রিন্ট কমানোর জন্য এ প্রচেষ্টা তিনটি প্রধান ক্ষেত্রে মনোনিবেশ করবে-সোলার বা উইন্ড পাওয়ারের মতো পরিষ্কার শক্তির উৎস ব্যবহার, শক্তি ব্যবহারের দক্ষতা উন্নত ও নিঃসরণ কমানোর জন্য নতুন প্রযুক্তি তৈরি করা।
হাইপারস্কেলার্স অর্থাৎ যে প্রতিষ্ঠানগুলোর বড় আকারের ডাটা সেন্টার ও ক্লাউড কম্পিউটিং ইনফ্রাস্ট্রাকচার থাকে। যেমন গুগল, মাইক্রোসফট, মেটা ও অ্যামাজন তাদের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) এবং ক্লাউড কম্পিউটিং প্রযুক্তি বিস্তারের জন্য দ্রুতগতিতে বিদ্যুৎ ব্যয়ী ডাটা সেন্টার তৈরি করছে। একই সঙ্গে কোম্পানিগুলো তাদের ডাটা সেন্টার থেকে কার্বন নিঃসরণ কমানোর জন্য ২০৩০ সালের মধ্যে বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্য পূরণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
গবেষণা প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, যেহেতু ডাটা সেন্টারগুলো দ্রুত সংখ্যা ও আকারে বাড়ছে, তাই এদের দ্বারা উৎপন্ন কার্বন নিঃসরণ কমানোর জন্য কার্যকর পদ্ধতি ও প্রযুক্তির চাহিদা বাড়ছে। ডাটা সেন্টারগুলো অনেক বিদ্যুৎ খরচ করে ও গ্রিনহাউজ গ্যাসের নিঃসরণে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখে। তাই তাদের পরিবেশগত প্রভাব কমানোর জন্য জরুরি সমাধানের প্রয়োজন বাড়ছে।
মরগান স্ট্যানলির গবেষণা প্রতিবেদন অনুযায়ী, এটি অর্থাৎ ডাটা সেন্টার শিল্পের উচ্চ স্তরের কার্বন নিঃসরণের সমাধানে একটি বৃহৎ বাজার তৈরি করে। এছাড়া কার্বন ডাই-অক্সাইড ক্যাপচার ও সংরক্ষণ (সিসিইউএস) প্রযুক্তি এবং কার্বন ডাই-অক্সাইড অপসারণ (সিডিআর) প্রক্রিয়াগুলোয় বাড়বে বিনিয়োগ।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বৈশ্বিক ডাটা সেন্টার শিল্পের গ্রিনহাউজ গ্যাস নিঃসরণ বার্ষিকভাবে পুরো যুক্তরাষ্ট্রের নিঃসরণের প্রায় ৪০ শতাংশের সমান হবে। সূত্র:দ্য রয়টার্স।
উজ্জ্বল এ গমেজ
অধ্যাপক ড. খন্দকার আব্দুল্লাহ আল মামুন। গবেষক ও ডিজিটাল হেলথ সিস্টেমের একজন বিশেষজ্ঞ। উদ্ভাবন...