সোমবার

ঢাকা, ১৯ মে ২০২৫

সর্বশেষ


ই-কমার্স

ই-কমার্সের প্রসার ও ক্রেতা বিশ্বস্ততা অর্জনে সকলকে কাজ করার আহ্বান

প্রকাশ: ৬ জুলাই ২০২৩, রাত ১০:৫১

টেকওয়ার্ল্ড প্রতিবেদক

Card image

ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশে ক্রমবর্ধনশীল ই-কমার্সের গতিবিধি ও দিকনির্দেশনা প্রণয়নে আলোচিত হয়েছে উপমহদেশীয় ই-কমার্সের সংস্কৃতিসহ ওপেন ডিজিটাল কমার্স, ই-কমার্সের স্থানীয় ও ক্রস বর্ডার লজিস্টিক সমাধান, ই-কমার্সের চ্যাট জিপির প্রয়োগ এবং বাংলাদেশে এফ-কমার্সের প্রসারের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়াবলী।

বাংলাদেশ ব্র্যান্ড ফোরামের আয়োজনে রাজধানীর রেডিসন ব্লু ঢাকা ওয়াটার গার্ডেন হোটেলে অনুষ্ঠিত হয়েছে বাংলাদেশ ই-কমার্স সামিটের দ্বিতীয় অধিবেশন। রবিবার (২৮ মে) দারাজের সৌজন্যে এই সামিট অনুষ্ঠিত হয়।

আয়োজনটির সঞ্চালনায় ছিল ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ই-ক্যাব), সহযোগিতায় এসপায়ার টু ইনোভেট (এটুআই) এবং সম্পৃক্ততায় মাস্টারকার্ড, দ্য ডেইলি স্টার ও উইমেন অ্যান্ড ই-কমার্স।  

দিনব্যাপী এই আয়োজনে দেশ এবং বিদেশের ই-কমার্স সেক্টরে কর্মরত বিশেষজ্ঞ, সিদ্ধান্ত প্রণেতা এবং চিন্তাবিদেরা অংশগ্রহণ করে আলোচনা এবং মত বিনিময় করেন। আধুনিক যুগের জন্য ই-কমার্সকে নতুনভাবে গড়ে তোলার মূলমন্ত্র নিয়েই আলোচনাগুলো আবর্তিত হয়। 

৪টি মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনা সেশন, ৩টি প্যানেল আলোচনা, ২টি ইনসাইট সেশন, ২টি কেস স্টাডি এবং ১টি পলিসি ডায়লগ সেশনের মধ্য দিয়ে আয়োজিত হয় এই বছরের ই-কমার্স সামিট। 

এসব সেশনে বিশেষজ্ঞ আলোচকেরা উন্নয়নশীল প্রযুক্তি, জালিয়াতি নিরাপত্তা, ভোক্তা পুনরাবৃত্তি, লজিস্টিক ম্যানেজমেন্ট, পেমেন্টসহ ই-কমার্স সম্পৃক্ত বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা করেন। ই-কমার্সের মতো নিত্য পরিবর্তনশীল সম্ভাবনাময় ক্ষেত্রে সাফল্যের সাথে কার্য পরিচালনার জন্য এইসকল আলোচনা সামিটে আগত পেশাজীবীদের দিক নির্দেশনার মতো কাজ করবে। 

সামিটে মূল বক্তা হিসেবে নিজদের মূল্যবান মতামত ও অভিজ্ঞতা আলোচনা করেন বিশ্বপ্রিয় ভট্টাচার্য, ডিরেক্টর, বিটুবি অ্যান্ড টেকনোলজি, ইনসাইটস ডিভিশন, কানটার; দাতো এরিক কু ইয়ি ফিই,, ডেপুটি চেয়ারম্যান, ডিজিটাল ইকোনমি কমিটি, এসিসিআইএম; এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর, আইট্রেন (এম) এসডিএন বিএইচডি; জাকারিয়া বেগ, সাবেক গ্লোবাল মার্কেটিং ডিরেক্টর, রেকিট; জ্যাক ইয়াও, সেক্রেটারি জেনারেল, চায়না কাউন্সিল ফর প্রমোশন অফ ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড, প্রেসিডেন্ট, এশিয়া কাউন্সিল ফর স্মল বিজনেস, ১ম ভাইস প্রেসিডেন্ট, এশিয়া মার্কেটিং ফেডারেশন; চেয়ারপারসন, আইসো/টিসি ৩৪২ (ম্যানেজমেন্ট কনসালটান্সি)। 

২য় বাংলাদেশ ই-কমার্স সামিটটির দিনব্যাপী কর্মসূচির উদ্বোধন করেন ই-ক্যাবের সভাপতি শমী কায়সার। তার বক্তব্যে উঠে আসে বাংলাদেশের ই-কমার্স খাতের প্রবৃদ্ধিসহ বাংলাদেশ ই-কমার্স সামিট আয়োজনটির প্রাসঙ্গিকতা ও প্রয়োজনীয়তা। 

এছাড়াও  আয়োজনটির পৃষ্ঠপোষক বক্তব্যে কথা তালাত রহিম, চিফ মার্কেটিং অফিসার, দারাজ বাংলাদেশ এবং সৈয়দ মোহাম্মদ কামাল, কান্ট্রি ম্যানেজার, মাস্টারকার্ড বাংলাদেশ এবং চোংয়া ওয়াং, এসিস্টেন্ট রিসার্চার, চায়না কাউন্সিল ফর দ্য প্রমোশন অব ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড (সিসিপিআইটি)। 

বাংলাদেশ ব্র্যান্ড ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক; শরিফুল ইসলাম, সম্মেলনটির স্বাগত বক্তৃতায় বলেন, ই-কমার্স একটি দ্রুত অগ্রগতিশীল খাত। প্রতি বছরই আমরা এই খাতে অনেক আধুনিক উদ্ভাবন ও অনুশীলন লক্ষ্য করেছি। তাই, এসকল পরিবর্তনগুলির যথাযথভাবে বাস্তবায়ন সম্পর্কে আলোচনা করা আমাদের দায়িত্ব। এই সম্মেলনটি  ই-কমার্স খাতকে অভিনব যাবতীয় পরিবর্তনের সাথে সমন্বয় ঘটিয়ে এগিয়ে নিয়ে যেতে সাহায্য করবে।

এছাড়াও সামিটের অন্যান্য আলোচনায় বক্তা হিসেবে ছিলেন ড. সৈয়দ ফেরহাত আনোয়ার, প্রেসিডেন্ট, এশিয়া মার্কেটিং ফেডারেশন (এএমএফ); প্রফেসর এবং ইমিডিয়েট পাস্ট ডিরেক্টর, আইবিএ- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়; ড. দেওয়ান এম হুমায়ুন কবির, প্রজেক্ট ডিরেক্টর (এডিশনাল সেক্রেটারি), এটুআই-এসপায়ার টু ইনোভেট; রাসেল টি আহমেদ, প্রেসিডেন্ট, বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস); রাফেজা আক্তার কান্ত, এডিশনাল ডিরেক্টর, বাংলাদেশ ব্যাংক এবং এ এইচ এম হাসিনুল কুদ্দুস রুশো, চিফ কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার, দারাজ বাংলাদেশ।

বাংলাদেশে ক্রমবর্ধনশীল ই-কমার্সের গতিবিধি ও দিকনির্দেশনা প্রণয়নে আলোচিত হয়েছে উপমহদেশীয় ই-কমার্সের সংস্কৃতিসহ ওপেন ডিজিটাল কমার্স, ই-কমার্সের স্থানীয় ও ক্রস বর্ডার লজিস্টিক সমাধান, ই-কমার্সের চ্যাট জিপির প্রয়োগ এবং বাংলাদেশে এফ-কমার্সের প্রসারের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়াবলী।

বিভিন্ন পর্বের আলোচনায় উঠে আসে ই-কমার্সের বর্তমান অবস্থা প্রতিবন্ধকতাসহ সম্ভাব্য সমাধানের বিষয়গুলো। আগামী দশকে ই-কমার্সের ব্যবহার বাড়বে দশগুন। আলোচিত সমস্যাগুলোর মধ্যে অন্যতম ছিল ক্রেতাদের বিশ্বাস অর্জন, অনলাইনে লেন-দেনে ক্রেতাদের অনাগ্রহ, নিরাপত্তা, দেশ-বিদেশে কুরিয়ার লেবার সমস্যাসহ প্রযুক্তির প্রয়োগ ও দক্ষ জনশক্তির স্বল্পতা। সেসাথে লজিস্টিক সেবা উন্নয়নের জন্য ব্যবসাবান্ধব পলিসি উন্নয়ন এবং সচেতনতায় গুরুত্ব দেয়া হয়। সারাদেশে ই-কমার্স ব্যবসার প্রতি মানুষকে উৎসাহিত ও আলোচনা করতে সরকারি-বেসরকারি পর্য়ায়সহ সংশ্লিষ্ট সকলকে একসাথে কাজ করার আহ্বান জানানো হয়।

দারাজের সৌজন্যে বাংলাদেশ ই-কমার্স সামিটের দ্বিতীয় অধিবেশনটি বাংলাদেশ ব্র্যান্ড ফোরামের একটি উদ্যোগ। আয়োজনটির সঞ্চালনায় ছিল ই-ক্যাব, সহযোগিতায় এটুআই এবং সম্পৃক্ততায় মাস্টারকার্ড, দ্য ডেইলি স্টার ও উইমেন অ্যান্ড ই-কমার্স। এছাড়াও আয়োজনটির অংশীদারিত্বে ছিলো চায়না কাউন্সিল ফর দ্য প্রোমোশন অব ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড। 

সাপোর্টেড বাই-বাই হেয়ার নাও; স্ট্র্যাটেজিক পার্টনার-এশিয়া কাউন্সিল ফর স্মল বিজনেস, মার্কেটার্স ইন্সটিটিউট বাংলাদেশ, স্টাইজেন, সাসটেইনাবিলিটি পার্টনার-বাজার ৩৬৫; নলেজ পার্টনার-এশিয়া মার্কেটিং ফেডারেশন, মার্কেটিং সোসাইটি অব বাংলাদেশ; হসপিটালিটি পার্টনার-রেডিসন ব্লু ঢাকা ওয়াটার গার্ডেন; টেকনোলজি পার্টনার- আমরা টেকনোলজিস লিমিটেড; পিআর পার্টনার-ব্যাকপেজ পিআর।

সংবাদটি পঠিত হয়েছে: ৫৫০ বার

এ সম্পর্কিত আরও খবর