৯ ঘন্টা আগে
১০ ঘন্টা আগে
ছবি: সংগৃহীত
ভোগান্তি কমাতে অটোমেশনের আওতায় আসছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
বর্তমান সময়ে সবকিছু প্রযুক্তির ছোঁয়ায় সহজবোধ্য হলেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) পরীক্ষা কার্যক্রম ও প্রশাসনিক কার্যক্রম এখনো চলে ম্যানুয়েল পদ্ধতিতে। এতে ভোগান্তি পোহাতে হয় সংশ্লিষ্টদের। এ বিষয়টি উপলব্ধি করে ঢাবি প্রশাসন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সেলের (আইসিটি) অধীনে শিক্ষা ও প্রশাসনিক কার্যক্রম পর্যায়ক্রমে অটোমেশনের আওতায় নিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তথ্য প্রযুক্তি সেবা নিশ্চিত করতে ২০১৭ সালের নভেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চালু করা হয় আইসিটি বিভাগ। যদিও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) ও শাহজালাল প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় অনেক আগেই কাজ শুরু করে। যার কারণে এসব দিক থেকে পিছিয়ে ছিলো ঢাবি। প্রতিষ্ঠার পর নির্দিষ্ট পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয় যার মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাব বিভাগ, প্রশাসন বিভাগ ও পরীক্ষা কার্যক্রম অটোমেশনের পরিকল্পনা অন্যতম। এরমধ্যে বেশ কিছু পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হয়েছে। নতুন আইপি ফোন কেনার মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতি বছর প্রায় ১৩ লাখ টাকা সাশ্রয় করা হয়েছে। এর আগে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ প্রতি বছর ফোন বাবদ বিল পরিশোধ করতো ৪৩ লাখ টাকার মতো। এছাড়া ইন্টারনেট ব্যবস্থাপনায় ব্যয় কমাতে স্ট্র্যাকচার ল্যান্ড তৈরি করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সিসিটিভি মনিটরিংও করছে আইসিটি বিভাগ।
অন্যদিকে, অনলাইন না হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয় সমাবর্তন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন ধরনের ভোগান্তি পোহাতে হতো। আইসিটি সেলের চেষ্টায় প্রথমবারের মতো ৫১তম সমার্বতনে অংশগ্রহণকারীদের অনলাইনে আবেদনের মাধ্যমে যার অনেক কষ্ট লাঘব করা হয়। পাশাপাশি মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে টাকা দেওয়ার সুযোগ করে দেওয়ায় ব্যাংকে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকার ঝামেলা থেকেও মুক্তি মেলে।
এ প্রসঙ্গে আইসিটি সেলের পরিচালক ড. মোহাম্মদ আসিফ হোসেন খান বলেন, অনেকে পড়াশুনা শেষ করে চাকরিতে যোগদানের পরে সমাবর্তনে অংশ নেয়। সেক্ষেত্রে তাকে তিন দিন সময় নিয়ে ঢাকায় আসতে হয়। যা এবার আমরা অনলাইন করার কারণে শিক্ষার্থীরা সুবিধা লাভ করে। অন্যদিকে আর্থিক লেনদেন করার ক্ষেত্রে বড় ধরনের ঝুঁকি ছিলো। ইতোপূর্বে এরকম কেউ করেনি। আমরা সফলভাবে কাজটি করতে সক্ষম হয়েছি।
বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা কার্যক্রম এখনো অটোমেশনের আওতায় আসেনি। পরীক্ষা পদ্ধতির অনলাইন করা নিয়ে কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. আসিফ বলেন, পরীক্ষার সময়ে শিক্ষার্থীদের একবার হল, বিভাগ ও ব্যাংকে যেতে হয়। আমরা এটা নিয়ে কাজ শুরু করবো। একটা ড্যাশবোর্ডে শিক্ষার্থীদের কোর্স সংশ্লিষ্ট বিষয়, তার ক্লাসে উপস্থিতির হারও সেখানে নির্ধারিত থাকবে। আর শিক্ষকরাও অনলাইনের মাধ্যমে রেজাল্ট জমা দেবে। তাহলে এক ঘণ্টার মধ্যে শিক্ষার্থীদের ফল তৈরি করা সম্ভব। পাশাপাশি আগের রেজাল্টও সংরক্ষিত থাকবে।
অপরদিকে, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের প্রথমবারের মতো ডাটাবেজ তৈরি করেছে আইসিটি সেল। যেখানে প্রত্যেক শিক্ষার্থীর নাম, সেশন, বিভাগ, হল সম্পর্কিত তথ্য রয়েছে। ডাকসু নির্বাচনকে সামনে এটি প্রস্তুত করা হয়েছে। যেখান থেকে ভোটার তালিকা তৈরি করা হবে।
এ প্রসঙ্গে ড. আসিফ হোসেন বলেন, আমরা হলগুলো থেকে শিক্ষার্থীদের তথ্য নিয়ে প্রথমবারের মতো ডিজিটাল ডাটাবেজ তৈরি করেছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৯টি হলের ৩৮ হাজার ৪৯৩ জন শিক্ষার্থীর নাম ও তথ্য এসেছে। এরমধ্যে ছাত্রী আছেন ১৪ হাজার ৫০৯ জন, আর ছাত্র ২৩ হাজার ৯৮৪ জন। এভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তাদের তথ্য সংরক্ষণ করা হবে।
উজ্জ্বল এ গমেজ
অধ্যাপক ড. খন্দকার আব্দুল্লাহ আল মামুন। গবেষক ও ডিজিটাল হেলথ সিস্টেমের একজন বিশেষজ্ঞ। উদ্ভাবন...