১ ঘন্টা আগে
৩ ঘন্টা আগে
১ দিন আগে
ছবি: সংগৃহীত
উদ্যোক্তাদের এখন ইনফরমেশন এবং কানেক্টিভিটি নিয়ে কাজ করতে হবে। এতে ডেটার ব্যবহার বাড়বে। বিনোদন নয়, জন চাহিদার উপর দৃষ্টি দিয়ে উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।
দেশের ৬৪টি জেলা থেকে অংশ নেওয়া বিভিন্ন উদ্যোগের মধ্যে সেরা ২০ জন উদ্যোক্তাকে এক লাখ টাকার চেক হস্তান্তর করলো গ্রাহক সংখ্যায় শীর্ষ মোবাইল অপারেটর গ্রামীণ ফোন। জিপি এক্সিলেটরের অধীনে ‘জেলায় জেলায় স্মার্ট উদ্যোক্তা’ উদ্যোগের অধীনে এ পর্যন্ত দেশজুড়ে ৫ হাজার ২শ’ তরুণের ক্ষমতায়ন করেছে অপারেটরটি।
এরই অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর লা মেরিডিয়ান হোটেলে অনুষ্ঠিত গালা নাইটে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ২০ জন বিজয়ী স্টার্টআপের সাফল্য উদযাপন এবং কর্মসূচির সফল বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখায় ৩০ জন কমিউনিটি বিল্ডারের ভূমিকাকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়।
উদ্যোক্তদের হাতে চেক তুলে দেন বিটিআরসি’র চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) মো. এমদাদ উল বারী। এসময় বিজয়ী উদ্যোক্তাদের পাশাপাশি আরো উপস্থিত ছিলেন বিটিআরসির ভাইস-চেয়ারম্যান মো. আবু বকর ছিদ্দিক, গ্রামীণফোনের চিফ করপোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার (সিসিএও) তানভীর মোহাম্মদ ও র ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং বিশিষ্ট উদ্যোক্তা ও সংশ্লিষ্টজনরা উপস্থিত ছিলেন।
চেক পেয়েছেন ফরিদপুরের মেডিকেল হোম সার্ভিস, রংপুরের কৃষকের স্কুল, সাভারের ক্লিয়ার কনসেপ্ট, খুলণার ইকোফেম, রাজশাহীর টেকনাউরেন, কুষ্টিয়ার বল ট্রাকার, নরসিংদীর হাকলকেরি স্যাচারাল ফুড, সাতক্ষীরার হুইলচেয়ার রোবো এইড, চট্টগ্রামের পি অ্যান্ড এ মোটর কোম্পানি, দিনাজপুরের স্মার্ট এগ্রিকালচার ড্রোন, যশোরের স্লিপ চার্জ, চট্টগ্রামের টিম খেলবো, বরিশালের এমার্জেন্সি রেসপন্স ডিভাইস, কক্সবাজারের দরিয়া, সিলেটের প্রীতিলতা, নাটোরের এআই বাংলাদেশ, ময়মনসিংহের স্বচ্ছ, পাবনার ফুয়েল প্রোডাকশন এবং ঢাকার আয় করি ও সাউন্ড ভিশন।
অনুষ্ঠানে এসব উদ্যোক্তাদের প্রশংসা করে বিটিআরসি চেয়ারম্যান বলেছেন, উদ্যোক্তাদের এখন ইনফরমেশন এবং কানেক্টিভিটি নিয়ে কাজ করতে হবে। এতে ডেটার ব্যবহার বাড়বে। বিনোদন নয়, জন চাহিদার উপর দৃষ্টি দিয়ে উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।
তিনি আরো বলেন, এক গাল হাসি দিয়ে গ্রাহকের পকেট কাটছে কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানগুলো। গ্রাহকের চাহিদা মাথায় না রেখে নিজেদের পণ্য চাপিয়ে দিচ্ছে। পারসিভ সেবা দিলে ডিজিটাল বৈষম্য বাড়বে। তাই আমাদের তৃণমূলের চাহিদা মেটাতো প্রচুর সেবা উন্নয়ন করতে হবে। কাউকে ইনভেস্টমেন্ট পার্টনার ভাবতে হবে। যে সেবা মানুষের জীবন এবং জীবিকাকে ক্ষমতায়িত করে সেই সেবা দিতে হবে।
গ্রামীণফোনের চিফ করপোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার (সিসিএও) তানভীর মোহাম্মদ তরুণদের সম্পৃক্ত করার মাধ্যমে অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নে গ্রামীণফোনের লক্ষ্যের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, “পরবর্তী প্রজন্মের সাফল্যের জন্য তাদের প্রয়োজনীয় দক্ষতা, সম্পদ ও সুযোগ-সুবিধা প্রদানের মাধ্যমে জাতীয় অর্থনীতির উন্নয়নে অবদান রাখাই আমাদের লক্ষ্য। ‘জেলায় জেলায় স্মার্ট উদ্যোক্তা’ উদ্যোগের মাধ্যমে আমরা দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের তরুণ উদ্যোক্তাদের মাঝে অসাধারণ সম্ভাবনা দেখেছি। আজ আমরা সেই ২০ জন বিজয়ী উদ্যোক্তার (স্টার্টআপের) সাফল্য উদযাপন করছি, যারা তাদের উদ্ভাবনী ধারণা ও দৃঢ় সংকল্পের মাধ্যমে নিজেদের বিশেষত্ব তুলে ধরেছেন।”
‘জেলায় জেলায় স্মার্ট উদ্যোক্তা’ বুটক্যাম্প সিরিজ দেশের ২০টি অঞ্চলে ধাপে ধাপে পরিচালিত হয়। অংশগ্রহণকারীদের দক্ষতা উন্নয়ন, দিক-নির্দেশনা এবং অর্থায়ন সংক্রান্ত পরামর্শ প্রদান করা হয়েছে যাতে তারা প্রতিযোগিতামূলক ব্যবসায়িক পরিবেশে টিকে থাকতে পারেন।
২০১৫ সালে কার্যক্রম চালুর পর থেকে দেশের স্টার্টআপ খাতে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখে চলেছে জিপি এক্সিলারেটর । এটি ৫০টি স্টার্টআপের মাধ্যমে ৫ লক্ষ মানুষের জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করেছে। একইসাথে দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে বিশেষ ভূমিকা রাখছে জিপি এক্সিলারেটর।
উজ্জ্বল এ গমেজ
অধ্যাপক ড. খন্দকার আব্দুল্লাহ আল মামুন। গবেষক ও ডিজিটাল হেলথ সিস্টেমের একজন বিশেষজ্ঞ। উদ্ভাবন...