বাংলাদেশের হাই-টেক পার্কগুলোতে বিনিয়োগের ব্যপারে জাপানের আগ্রহ প্রকাশ
প্রকাশঃ ১২:০৫ মিঃ, সেপ্টেম্বর ১৬, ২০১৮
বাংলাদেশের হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিতে বিনিয়োগ করতে জাপানি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান আগ্রহ দেখিয়েছে। ইতোমধ্যেই জাপান-বাংলাদেশের যৌথ মালিকানাধীন কোম্পানি BJIT পূর্ণদ্দ্যোমে কাজ করে চলেছে। বর্তমানে বাংলাদেশে বিনিয়োগ বান্ধব পরিবেশ বিরাজ করায় উভয় দেশের একত্রে কাজ করার সুযোগ আরো প্রসারিত হয়েছে। আজ বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের সভাকক্ষে এক অনানুষ্ঠানিক সভায় Japan External Trade Organization Dhaka (ZETRO) কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ এসব কথা বলেন। জাপানি প্রতিনিধিরা বাংলাদেশ থেকে IT-দক্ষ কর্মী নেয়ার জন্য প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ প্রদানের ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করেন। এজন্য প্রয়োজনীয় স্পেশ চাইলে মাননীয় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জনাব জুনাইদ আহমেদ পলক এমপি জনতা টাওয়ার সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কে আর কোনো স্পেশ না ফাঁকা না থাকায় নিজের দাপ্তরটি প্রয়োজনে ZETRO এবং জাপানী প্রতিষ্ঠানগুলো ব্যবহার করতে পারে বলে জানান। ঢাকায় নিযুক্ত ZETRO-র কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ D. Arai প্রতিমন্ত্রীর আন্তরিকতা এবং সহযোগীতার বিষয়গুলো জাপান সরকারের কাছে উপস্থাপন করবেন মর্মে নিশ্চিত করেন।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জনাব জুনাইদ আহমেদ পলক এমপি এর সভাপতিত্বে উক্ত আলোচনা সভায় বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (সচিব) জনাব হোসনে আরা বেগম এনডিসি বাংলাদেশে সরাসরি বিনিয়োগের ক্ষেত্রসমূহ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। তিনি বাংলাদেশের হাই-টেক ইন্ডাস্টিতে বিনিয়োগের অপার সম্ভাবনার বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন। বাংলাদেশে সরাসরি বৈদেশিক বিনিয়োগ যে ক্রমবর্ধমান হারে বেড়ে চলেছে তার পরিসংখ্যান দেখিয়ে ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, বাংলাদেশে এখন বিনিয়োগ বান্ধব পরিবেশ বিরাজ করছে। জাপানি কোম্পানিগুলো এই সুযোগ কাজে লাগাতে পারে।
আলোচনা সভায় প্রতিমন্ত্রী মহোদয় বলেন, বাংলাদেশ শুধু জাপানের সাথে ব্যবসাই নয় বরং জাপানের সাথে বাংলাদেশের যে ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে তাকে আরো দৃঢ় করতে চায়। প্রতিমন্ত্রী ‘জাপান-বাংলাদেশ আইসিটি ডেভেলপমেন্ট সেন্টার’ (Japan-Bangladesh ICT Development Center) চালু করার প্রস্তাব দেন, এর মাধ্যমে তথ্য প্রযুক্তি ক্ষেত্রে জাপানের সাথে বাংলাদেশের সহযোগিতার ক্ষেত্র আরো প্রসারিত হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তিনি বাংলাদেশের সাথে জাপানের সাংস্কৃতিক বন্ধনকে আরো মজবুত করতে ‘যৌথ ভাষা ও সংস্কৃতি চর্চা কেন্দ্র’ (Combined Language & Cultural Center) চালু করারও প্রস্তাব দেন। জাপানি কোম্পানিগুলো বাংলাদেশের আইসিটি সেক্টরে কাজ করতে চাইলে প্রয়োজনে হাই-টেক পার্কগুলোতে পৃথক জাপানিজ জোন করা যেতে পারে বলে প্রতিমন্ত্রী মতামত ব্যক্ত করেন। ইতোমধ্যে BJIT বঙ্গবন্ধু হাই-টেক সিটিতে দুই (০২) একর জমি বরাদ্দ পেয়েছে। প্রয়োজন হলে আরো জমি বরাদ্দ দেয়া যেতে পারে বলে প্রতিমন্ত্রী মহোদয় উল্লেখ করেন। উল্লেখ্য, বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ BJIT-কে ইতোমধ্যে প্রাইভেট সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক হিসেবে ঘোষণা করেছে।
বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (সচিব) জনাব হোসনে আরা বেগম এনডিসি জানান, ইতোমধ্যে কালিয়াকৈরে উৎপাদিত পণ্য বিদেশে রপ্তানি শুরু হয়েছে। শিঘ্রই সেখানে একটি শ্রীলংকান কোম্পানি ল্যাপটপ এসেম্বলিং শুরু করবে।
অলোচনা সভায় বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ কর্তৃক বাস্তবায়িতব্য সিলেট ইলেক্ট্রনিক সিটি প্রকল্পের পরিচালক ব্যরিস্টার মো. গোলাম সরওয়ার ভূঁইয়া বলেন, সিলেটে বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পেও বিনিয়োগের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। জাপানি প্রতিষ্ঠানগুলো এখানে বিনিয়োগ করলে সব ধরনের সহযোগীতা করতে তিনি প্রস্তুত আছেন।
বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের পরিচালক ড.খন্দকার আজিজুল ইসলাম বলেন, দুই দেশের আলোচনা ও সহযোগীতার ধারা অব্যাহত রাখতে ফোকাল পয়েন্ট থাকা জরুরি, যারা উভয় পক্ষের মধ্যে যোগাযোগ রক্ষা করবে। সভায় BJIT ও বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদটি পঠিত হয়েছেঃ ২১৩ বার
সম্পর্কিত পোস্ট
মুখোমুখি

‘বাংলাদেশকেই হিটাচি পণ্যের বাজার হিসেবে অধিক সম্ভাবনাময় দেশ বলে মনে হয়’ - চেন টেক ব্যঙ্ক
হিটাচি হোম ইলেকট্রনিক্স এশিয়া প্রাইভেট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জনাব চেন টেক ব্যঙ্ক প্রকৃতঅর্থে একজন বয়োজষ্ঠ্য, কিন্তু তার জ্ঞানের পরিধি এবং অক্লান্ত পরিশ্রম তার বয়সকেও হার মানিয়ে দেয়। আর সে কারণেই তিনি হয়ে ওঠেন এক অদম্য যুবকের সমতুল্য। তার আধুনিক ব্যবসায়িক চিন্তাধারা এশিয় অঞ্চলে হিটাচি পণ্য ও সেবার বাজারের ব্যাপক প্রসার ঘটাবে বলে আশা করা যাচ্ছে। বাংলাদেশে হিটাচি কোম্পানির ডিস্ট্রিবিউটর ইউনিক বিজনেস সিস্টেম লিমিটেড কর্তৃক আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে মাসিক টেকওয়ার্ল্ড পত্রিকার প্রতিনিধির জনাব চেন টেক ব্যঙ্ক এর সাক্ষাৎকার গ্রহণের সুযোগ হয়, যার উল্লেখযোগ্য অংশটুকু এখানে তুলে ধরা হলোঃ
প্রশ্নঃ সাধারণ